নতুন কিছু করাই তরুণের ধর্ম -জর্জ বার্নার্ডাশ

নতুন কিছু করে উদ্যোক্তা হয়ে নিজেকে একজন আইডল হিসেবে উপস্থাপন করেছেন যশোরের সন্তান আশানুর রহমান।তিনি ব্যাবসায়ী আব্দুস সালামের কনিষ্ঠ পুত্র। তিনি যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হতে সিভিল ইন্জিনিয়ারিং শেষ করে চাকরি নেন এলজিআরডি তে। চাকরির ধরাবাঁধা নিয়ম আর পৃথিবীতে অন্যের গোলামি করা তার কাছে যেন অস্বস্তির কারণ ছিল। সবকিছু ভেবে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেন কোন একটা ব্যাবসা শুরু করবে। ২০১৫ সালে তিনি আবারও কাজ শুরু করেন একটা বেকারির কারখানাতে তার মূল কারণ ছিল ব্যাবসা রপ্ত করা।বছর খানেক বিভিন্ন ভাবে রপ্ত করেন ব্যাবসার অভিজ্ঞতা। এমনকি ডেলিভারি ম্যান হিসেবেও কাজ করেছেন বছর খানেক। পরবর্তীতে তিনি ২০১৬ সালে শুরু করেন নিজস্ব ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। তিনি মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের পাশে গড়ে তোলেন ভাই ভাই বেকারি। অল্প পরিসরে কাজ শুরু করেন তিনি।কিন্তু নিজের অভিজ্ঞতা, সততা,মানবিকতা দিয়ে গড়ে তোলেন বেকারির বিশাল বড় কারখানা।বর্তমানে ২০ জন শ্রমিক ও ২১ টা ডেলিভারি ম্যান কাজ করছে। এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় অর্ধ শতাধিক মানুষের। এছাড়াও রয়েছে বেস্ট মোবা নামে একটি মোবাইল শোরুম যেখানে দেশী বিদেশি ব্রান্ডের বিভিন্ন ধরণের মোবাইল ও ইলেক্ট্রনিক সামগ্রিক ক্রয় বিক্রয় করেন।

তিনি ব্যাবসার পাশাপাশি বিভিন্ন মানবিক কাজে সবসময় ঝাপিয়ে পড়েন বর্তমানে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ একটা এতিম খানার সাথে যুক্ত আছেন যেখানে ৪৫জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।তিনি মনে করেন ব্যাবসায়ে আছে নিজের স্বাধীনতা এবং হালাল হারামের মত একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন।সাম্প্রতি তিনি উমরাহ করে দেশে ফিরেছেন এছাড়াও শখের বসে ভ্রমণ করেছেন
ইন্ডিয়া ,নেপাল,মালদ্বীপ,থাইল্যান্ড,কম্বোডিয়া,সিঙ্গাপুর,সৌদি,মালয়েশিয়া,চায়না,দুবাই, তার একমাত্র শখ বাংলাদেশর পাসপোর্ট দিয়ে বিশ্বের সব দেশ ঘুরে দেখবে। তিনি একটা স্বপ্ন দেখেন ভবিষ্যৎ একটা বড় এতিম খানা বৃদ্ধাশ্রম এবং একটা মসজিদ তৈরি করবেন।

তরুণদের উদ্দেশ্য তিনি বলেনঃ চাকরি পিছনে না ছুটে উদ্দোক্তা হতে,ছোটখাট কোনো ব্যবসা করতে,
কোনো ব্যবসাই ছোট না,আমি নিজে ২০১৭ সালে হকারি করেছি নিজের বেকারিতে ১টা টেম্পু গাড়ি দিয়ে এখন বর্তমানে আলহামদুলিল্লাহ ২১ টা ব্যাটারি চালিত গাড়িতে করে আমার প্রডাক্ট গুলা বিক্রি হচ্ছে।কোনো কাজ অসলে ছোট না।হতাশ হওয়া যাবে না হাল ছাড়া যাবে না।লেগে থাকতে হবে।সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ। তিনি আরও বলেন নিজেকে উন্নত করার জন্য এত ব্যস্ত থাকতে হবে যে অন্যের সমালোচনা করার সময় না পাই।আর জীবনের সবচেয়ে বড়ো জয় হলো,এমন কিছু করে দেখানো যা সবার কাছে কল্পনার অতীত হয়।
ইনশাআল্লাহ আমি নিজে করে দেখিয়েছি সবাইকে।